রবীন্দ্রনাথকে ছোটবেলা থেকে কবি হিসেবে জানি। বিশ্বকবি। কবি কবিতা লেখেন। আর এই কবিতা যোগাযোগের এক অনন্য শৈল্পিক ফর্ম।

নূরজাহানের মতো উদার, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক এক মানবিক মুখের সঙ্গে যথার্থ কোন পরিচয় এই বাংলায় গড়ে ওঠেনি। এটাও দেশভাগের সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতার প্রত্যক্ষ পরিণাম।

জেলে ত্রিশ বছর ও পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম’ গ্রন্থটিই মানুষের মাঝে ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীকে লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

সত্যজিতকে স্কুলে সবাই মানিক বলেই ডাকতো। তার স্কুলের কোনো ইউনিফর্ম ছিল না। কেউ হাফপ্যান্ট পরতো, কেউ ধুতি, মুসলমান ছেলেরা পায়জামাও পরতো, সঙ্গে চলতো শার্ট।

উপন্যাসটি লিখেছেন ১৯৫৬ সালে, প্রায় ৮০ বছর আগে। এর মূলকথা- ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়া, মানুষে মানুষে আন্তরিকতার সম্পর্ক স্থাপন, রাষ্ট্রের বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের প্রতি যত্নবান হওয়া

৭৩৬ পৃষ্ঠার  আয়োজনে শুরুতে কবি ও লেখক সৈয়দ শামসুল হকের অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের অপ্রকাশিত চিঠি।

আনোয়ার পাশার লেখনীতে প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী, পাকিস্তানি শাসকচক্রের নৃশংসতা, দেশীয় কতিপয় লোকের বিপথগামিতা। এসব ঘটনা ঘটেছে দেশভাগ, ভাষা-আন্দোলন ও স্বাধীনতায়। এ ত্রিবিধ অধ্যয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতির আদি-অন্ত জানা সম্ভব।

আমি বিশেষ কিছু লিখছি, কিন্তু এটা কাউকে প্রভাবিত করার জন্য না। আমার ভেতরে যে প্রশ্ন জাগে, সেটা নিয়েই লিখি আমি। লেখার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করার চেষ্টা করি।

আজকের মতো এতো অফুরন্ত খবর বা সংবাদ সেকালের সাময়িকপত্রের পাতায় স্থান পেতো না। সংবাদপত্রের অনেকাংশ জুড়ে থাকতো ‘সাহিত্য’।

গ্রামের মেঠোপথকে তিনি আলোকিত করেছেন। সমাজের দ্যুতি হয়ে দূর করেছেন অন্ধকার। শিক্ষা, সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে আছে অনন্য ভূমিকা।

তিনি ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘কৃষক’, ‘নবযুগ’ ও ‘ইত্তেহাদ’র সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছিলেন আধুনিক ও প্রগতিশীল সাংবাদিকতার অগ্রপথিক।

জসীম উদদীনকে বাঙালির-আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের অপর নাম বলায় সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত। কারণ, তিনি বাঙালি সংস্কৃতির আদি ও অকৃত্রিম রূপটাই তুলে ধরেছেন সৃজনশৈলীতে।

রাজশেখর বসু  ব্যঙ্গকৌতুক ও বিদ্রুপাত্মক কথাসাহিত্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন দুই বঙ্গে।

প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের লেখা প্রথম বই 'যাপিত জীবনের গল্প।' বইটিতে স্থান পেয়েছে তার দুই যুগের সাংবাদিকতা জীবনের নানা অপ্রকাশিত অভিজ্ঞতার কথা।

হাফিজ কার্জন উপন্যাসের নাম দিয়েছেন ‘অর্ধেক উপন্যাস’। কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার ভার পাঠকের ওপর।

অসাম্প্রদায়িকতার মূল্যায়নপূর্বক অতীতের আলোয় নিজেদের বর্তমানকে সমৃদ্ধ করা; অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে একসূত্রে গেঁথে বাঙালিত্বের গৌরবের ডালিতে তাকে মহিমা ও মর্যাদা দান করা। যা হয়নি আজও

আমাদের দেশে পেশাদারি লেখক হাতেগোনা। বাকিরা অন্যান্য কাজের ফাকে লেখালেখি করেন। সেই সম্মানটুকু তাকে দেয়া উচিত।

আমাদের লেখকরাও অনেক বেশি অস্থির, দীর্ঘ পরিকল্পনায় কাজ করতে দেখা যায় না। কোন বিষয় গুছিয়ে স্থিরভাবে চিন্তা করে না

‘শিল্প-সাহিত্যে মেধাবী মানুষ প্রতি বছর আসে না, পরিবর্তন ঘটায় না। দুই-দশক তিন-দশক, চার-পাঁচ দশক পরপর এক-দুজন মেধাবীকে আমরা পাই।’

গবেষণা ও কল্পকাহিনীর মিশেলে গ্রন্থাকারে লেখা ‘শব্দ’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম ‘ভূত অভিধান’ লিখেছেন আশিনুর রেজা।