এনবিআরের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, তথ্য গোপন করা প্রতিটি গাড়ির দাম (শুল্ক ও করসহ) ১ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকার মধ্যে।

গত মাসে প্রকাশিত এডিবির ‘ননপারফর্মিং লোনস ওয়াচ ইন এশিয়া ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। এটা আগের বছরের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এশিয়ার ‘সবচেয়ে দুর্বল ব্যাংকিং ব্যবস্থার’ দেশ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলার দুর্বল হলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ৪ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৭ শতাংশ কম।

বর্তমানে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশেরও বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির পরিমাণ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি।

দেশের আর্থিক খাতে প্রথমবারের মতো ৩৫টি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে যাচ্ছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর এটাই সবচেয়ে দুর্বল সূচনা।

তাদের দাবি, বিদেশি চাহিদা বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা নিয়ে দুশ্চিন্তার চেয়ে আসল চ্যালেঞ্জ দেশের ভেতরেই।

‘শুধু বাজারে খাদ্য থাকলেই সেটাকে খাদ্য নিরাপত্তা বলা যাবে না। মানুষের প্রয়োজন চাকরি এবং প্রকৃত আয় বৃদ্ধি।’

এছাড়া, সাবেক ৪ ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউর সাবেক ২ প্রধানের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

এই লক্ষ্যমাত্রা আগের অর্থবছরের মোট রপ্তানির চেয়ে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

‘শিক্ষার্থীরা যা শেখে এবং শ্রমবাজারের যে চাহিদা, তার মাঝে বিস্তর ফারাক। গত এক বছরে শিক্ষাখাত সংস্কারের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

বারো মাস পর অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে, তবে পুরোপুরি ঠিক হয়নি।

ভারতে ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই) এবং চীনে আলিপে ও উইচ্যাট পে প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমনকি ছোট অর্থনীতির ভুটান ও নেপালও ডিজিটালাইজেশনের দিকে নীরবে এগিয়ে গেছে।

সদ্য সমাপ্ত এই অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ৬৮ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরের পর থেকে সবচেয়ে কম অগ্রগতি।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার ১৮ ব্যাংক থেকে ১৭১ মিলিয়ন ডলার কিনেছিল।

দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর আয়ের একটি অংশ আসে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে।

সংশোধিত হার আজ ১ জুলাই বা তার পর ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রের জন্য প্রযোজ্য হবে।

এ রেমিট্যান্সের পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন। ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও রাজস্ব আদায় ব্যাহত হচ্ছে।