পুনর্নির্বাচনের দাবি, ভোট বর্জন করা প্যানেলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যাবে ছাত্রদল

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
11 September 2025, 15:29 PM
UPDATED 11 September 2025, 21:45 PM
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নতুন কলা ভবন সংলগ্ন কবির সরণি থেকে মিছিল করে ছাত্রদল।

নতুন করে তফসিল দিয়ে আবার জাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর শাখা ছাত্রদল।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নতুন কলা ভবন সংলগ্ন কবির সরণি থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে অংশ নেন ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদী, এজিএস প্রার্থী সাজ্জাদ।

ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী এ মিছিল নিয়ে ট্রান্সপোর্ট চত্বর হয়ে চৌরঙ্গী গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

মিছিলে তারা 'প্রহসনের নির্বাচন মানি না', 'প্রহসনের জাকসু মানব না', জাকসু বয়কট' ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ট্রান্সপোর্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদল জাবি শাখার আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বাবর বলেন, 'ছাত্রদল সর্বপ্রথম জাকসু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আশ্বস্ত করেছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।'

'কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা প্রথম থেকেই তা করেনি। আজ সকালে যখন আমাদের পোলিং এজেন্টরা হলে হলে যায় তখন তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'ভোট নিয়ে অনিয়ম ও কারসাজি হয়েছে। জাহানার ইমাম হল, বঙ্গমাতা হলসহ অনেক হলে ব্যালট পেপার নিয়ে গিয়ে জাল ও ভুয়া ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদে ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে।'

'ছাত্রশিবিরের কাছে অতিরিক্ত ব্যালট দিয়ে ভুয়া ভোট দেওয়ানো হয়েছে। ছাত্রী সংস্থাকে দিয়ে কারচুপি করানো হয়েছে,' বলেন তিনি।

ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, 'অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'

যোগাযোগ করা হলে জহিরউদ্দিন বাবর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা নতুন নির্বাচনের দাবিতে আগামীকাল জাকসু নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেবো। অন্যান্য যেসব প্যানেল ভোট বয়কট করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যাব।'

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল এক সংবাদ সম্মেলনে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বয়কট করে।

এরপর, আরও অন্তত তিন প্যানেল ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একই অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।