ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা কমল ২৩%, কারণ কী

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
8 September 2025, 08:06 AM
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ইইউ’র ২৭ দেশ, সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েতে আশ্রয় চেয়ে মোট ২৫ হাজার আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন সিরীয়রা। সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ে জমা পড়া আবেদনের তুলনায় ৬৬ শতাংশ কম।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ২৩ শতাংশ কমে গেছে।

আজ সোমবার ইউরোপের আশ্রয় সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের (ইইউএএ) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

ইইউএএ প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, মূলত সিরিয়া থেকে আবেদন আসা কমে যাওয়াতেই সার্বিকভাবে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যায় ধস নেমেছে।

asylum_seekers_2.jpg
আশ্রয়কেন্দ্রে অপেক্ষা করছেন আশ্রপ্রার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ইইউ'র ২৭ দেশ, সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েতে আশ্রয় চেয়ে মোট ২৫ হাজার আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন সিরীয়রা। সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ে জমা পড়া আবেদনের তুলনায় ৬৬ শতাংশ কম।

ইইউএএ'র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, 'ইইউ প্লাসের নীতিতে এমন কোনো পরিবর্তন আসেনি, যার কারণে আবেদনের সংখ্যায় ধস নামবে।'

সংস্থাটি সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতনকে আবেদন কমার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, 'সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ দেশটিতে স্থিতিশীলতা ও পুনর্নির্মাণের অঙ্গীকার করেছে। যার ফলে, অনেক বাস্তুচ্যুত সিরীয় নাগরিক নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।'

সর্বশেষ গণনা অনুযায়ী, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার দিক দিয়ে শীর্ষে আছে ভেনিজুয়েলা ও আফগানিস্তানের নাগরিকরা। আগে শীর্ষস্থানটি সিরিয়ার দখলে ছিল।

অপরদিকে, আশ্রয়প্রার্থীদের পছন্দের গন্তব্য হিসেবে জার্মানিকে পেছনে ফেলেছে ফ্রান্স ও স্পেন।

সব মিলিয়ে ইইউ প্লাস নামে পরিচিতি ওই ২৯টি দেশে চলতি বছরের ছয় মাসে তিন লাখ ৯৯ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছেন।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গোলযোগের বশবর্তী হয়ে ভেনিজুয়েলার বাসিন্দাদের মধ্যে আশ্রয় চাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ঐ দেশ থেকে আসা আবেদনের সংখ্যা ৪৯ হাজার।

Syrian Refugee
অজানার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে সিরিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত একটি পরিবার। ফাইল ছবি: এএফপি

তবে সার্বিকভাবে আবেদনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ব্রাসেলসে ইইউর সদর দপ্তরে স্বস্তির সুবাতাস বয়ে গেছে। দীর্ঘসময় ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওপর অভিবাসীর সংখ্যা কমানোর চাপ রয়েছে। বিশেষত, বেশ কয়েকটি দেশে কট্টর ডানপন্থি দল ও নেতারা ক্ষমতায় এসে অভিবাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।

এ বছরের শুরুর দিকে ইউরোপীয় কমিশন নতুন কিছু পরিকল্পনা বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন নাকচ করা এবং অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে।