মিরপুর রোডে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
2 February 2025, 05:58 AM
UPDATED 2 February 2025, 22:05 PM
সকাল ১১টার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আহত ও তাদের স্বজনেরা।

সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে রাজধানীর মিরপুর রোডের শিশুমেলার কাছে তিন রাস্তার মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আহত ও তাদের স্বজনেরা।

এর আগে গতরাত থেকেই জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।।

সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভের কারণে যান চলাচল বন্ধ। সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ঘটনাস্থল থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডেইলি স্টার সংবাদদাতা।

আহত বিক্ষোভ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতরা আজ রোববার আগারগাাঁওয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

গত ৪ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিতে আহত বিপ্লব জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অসুস্থ রোগী। সরকার আমাদের সুচিকিৎসা দিচ্ছে না। আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে না। ছয় মাস পেরিয়ে গেল হাসপাতালে আমাদের কেউ দেখতেও আসেন না। আমার চোখে গুলি লেগেছে। চোখের ভেতরে গুলি আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আজকে রাস্তায় নেমেছি সুচিকিৎসার দাবিতে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আমরা আছি। এখনো পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি।'

475815104_1319604425946673_2352027818331370692_n.jpg
ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

বিক্ষোভকারীদের একজন মো. নেসারউদ্দিন নাঈম। পেশায় শিক্ষক এই ব্যক্তি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা সামনের সারিতে ছিলাম। আজকে দীর্ঘ ছয় মাস পরও দেখা যাচ্ছে সরকার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আমাদেরই সরকার আমাদের দিকেই তাকানোর সময় পাচ্ছে না। এটা হতে পারে না। যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হননি তিনি আমাদের কষ্ট বুঝবেন না। গত ছয়- সাত মাস আমরা বেকার।'

রেদোয়ান সিদ্দিকি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চোখে গুলি লেগেছে। রাতে চোখের ব্যথায় ঘুম হয় না।'

তিনি আরও বলেন, 'আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। এর আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের হেলথ কার্ড করা হয়েছে, তা কোথায়? আমরা চাই আহতদের সুচিকিৎসা হোক। প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিতে হলে সরকার যেন তা করে।'