ইমরান খানের সাজা স্থগিত

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
29 August 2023, 07:58 AM
UPDATED 29 August 2023, 15:01 PM
৫ আগস্ট ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) দায়ের করা মামলায় পিটিআই প্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করে।

দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তোশাখানা মামলায় ৩ বছরের সাজা স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালতে এই রায় দেন।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএইচসি সংক্ষিপ্ত রায়ে ঘোষণা করেছে, রায়টি একদিন আগে থেকেই সংরক্ষিত ছিল। যেখানে কর্তৃপক্ষকে পিটিআই প্রধানকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

দেশটির প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গীরির সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

বিচারপতি ফারুক জানিয়েছেন, 'রায়ের কপি খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে… আমরা এখন বলছি, (ইমরানের) আবেদন অনুমোদন হয়েছে।'

পিটিআই চেয়ারম্যানের আইন বিষয়ক সহকারী নাঈম হায়দার পাঞ্জোথাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বের টুইটারে) একটি পোস্টের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'প্রধান বিচারপতি অনুরোধ গ্রহণ করেছেন, সাজা স্থগিত করেছেন এবং বলেছেন পরে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।'

তবে ইমরান কবে জেল থেকে মুক্তি পাবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সূত্রমতে, পিটিআই প্রধানকে জামিনের জন্য ১ লাখ টাকা জামানত হিসেবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫ আগস্ট ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) দায়ের করা মামলায় পিটিআই প্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করে। যেখানে রাষ্ট্রীয় উপহারের বিবরণ গোপন করার বিষয় ছিল এবং তাকে ৩ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেয়। এ ছাড়া রায়ে তাকে ৫ বছরের জন্য সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

পরে ইমরান হাইকোর্টে আপিল করেন।

দোষী সাব্যস্ত করা বিচারিক আদালতের বিচারকদের কাছে মামলাটি ফেরত পাঠানোর কারণে আইএইচসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের (এসসি) কাছেও গিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট যদিও ইমরানের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে 'প্রক্রিয়াগত ত্রুটির' কথা স্বীকার করেন। তবে ইমরানের আবেদনের বিষয়ে আইএইচসি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা হয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণে পাকিস্তান বার কাউন্সিলের ক্ষোভের প্রসঙ্গ টানা হয়। সেখানে বলা হয়, অধস্তন বিচার বিভাগের সামনে বিচারাধীন বিষয়ে কোনো 'হস্তক্ষেপ' করা উচিত নয়।