উদ্বোধন হলো দ. কোরিয়ার অর্থায়নে কেনা ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ
৩০টি মিটারগেজ ও ১৬টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে কমলাপুর স্টেশনে রেল জাদুঘর ও লোকোমোটিভগুলো উদ্বোধ করেন। এর মধ্যে ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ কেনা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ নতুন করে রেলের বহরে যুক্ত হওয়া মিটারগেজ লোকোমোটিভগুলোর মধ্যে ২০টি কেনা হয়েছে কোরিয়া সরকারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) অর্থায়নে। এর জন্য স্বল্প সুদে ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে ইডিসিএফ। কোরিয়া সরকারের এই সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করে।
আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন ও রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও দক্ষিণ কোরিয়ার চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স জুঙ্গিঔল লি।
দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ১৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৪০ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
ইডিসিএফ এর অর্থায়নে কেনা লোকোমোটিভগুলো গত বছরের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। এই ২০টি বাদে আরও যে ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ কেনা হয়েছে সেগুলোর জন্য অর্থায়ন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। সবগুলো মিগারগেজ লোকোমোটিভ সরবরাহ করেছে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি।
বাংলাদেশের রেলের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়েছে কোরিয়া। রেলের আধুনিকায়নে লোকোমোটিভ ও যাত্রীবাহী বগি কিনতে ১৯৯৬ সাল থেকে ইডিসিএফ এ পর্যন্ত ৩০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। সেই সঙ্গে হুন্দাই রোটেম কোম্পানি ও সাং শিন আরএসটি এর মতো কোরিয়ান কোম্পানিগুলো তাদের সর্বাধুনিক রেল প্রযুক্তি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ইডিসিএফ এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মোট ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে।
Comments