রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রকাশ্য স্বীকৃতি দিন: জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ফর্টিফাই রাইটস
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রকাশ্যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস।
পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) উপস্থাপন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রকাশ্য স্বীকৃতি দিয়েছেন।
এরপর ফর্টিফাই রাইটস এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি এ আহ্বান জানালো।
সংস্থাটির মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জাও উইন বলেন, 'রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা রোহিঙ্গাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।'
তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে এর স্বীকৃতি চেয়ে আসছিল। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা যে গণহত্যা, এ স্বীকৃতির কারণে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে এ ধরনের নৃশংস অপরাধ চালিয়ে যাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে।'
২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এ সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত প্রধান প্রসিকিউটরকে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতি, নিপীড়ন এবং তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত এবং সম্ভাব্য বিচারের এখতিয়ার দেন।
পরে ২০১৯ সালের নভেম্বরে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে একটি মামলা করে। গত মাসে প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে তার প্রথম সফর করেন।

Comments