রাজবাড়ীতে চিকিৎসক সংকট, নেই পিসিআর ল্যাব, চালু হয়নি আইসিইউ
চিকিৎসক সংকট আর দক্ষ জনবলের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজবাড়ীর মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও মিলছে না চিকিৎসকের দেখা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দাদশী ইউনিয়ন থেকে জেলা সদর হাসপাতালে এসেছেন রহিমা খাতুন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টায় এসেছি, এখন ১১টার বেশি বাজে কিন্তু ডাক্তার নেই। কখন আসবে সেটাও জানি না। দুই দিন আগে একবার এসে ফিরে যেতে হয়েছে— ডাক্তার ছিল না।’
ফারুক হোসেন তার স্বজনকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে এখন কোনো চিকিৎসা নেই। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই ফরিদপুর অথবা ঢাকায় যেতে বলছে।’
আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা বলেন, ‘হাসপাতালের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে কোনো বাজারে এসেছি। কোনো স্বাস্থ্যবিধি নেই, সামাজিক দূরত্ব নেই। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।’
সূত্রে জানায়, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৪১টি। এর মধ্যে ২৬টিই শূন্য। ১২টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদ ফাঁকা। পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১টি চিকিৎসক পদের ১২টি ফাঁকা। এ ছাড়া, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭টি পদের নয়টি, বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮টি পদের ১১টি, গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২৫টির মধ্যে ১৩টি পদ শূন্য।
নৈশ প্রহরী, পরিছন্নতাকর্মী, ওয়ার্ড বয় ও টেকনিশিয়ানেরও সংকট রয়েছে। নেই আরটি-পিসিআর ল্যাব। জেলা সদর হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় সম্প্রতি তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিট বসানো হলেও দক্ষ জনবলের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সূত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ইব্রাহিম টিটোন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫০ শতাংশের মতো চিকিৎসক সংকট রয়েছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক চিকিৎসক দিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে। নতুন চিকিৎসক না এলে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। চিকিৎসা সরঞ্জামেরও সংকট রয়েছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
Comments